ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণের সময় রাজধানীতে সাত ঘন্টায় ১০ বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। যাত্রীবেশে বাসে উঠে দুর্বৃত্তরা এসব আগুন দেয়। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার মধ্যে রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন, শাহাজাহানপুর, শাহবাগ, ভাটারা, বংশাল ও উত্তরা থানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অবশ্য এতে কেউ হতাহত হয়নি। ২০১৪-১৫ সালে দেশজুড়ে আগুন সন্ত্রাসের পর আবার একই কায়দায় বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটল। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের বিরোধিতা করে বিএনপি-জামায়াত জোট আগুন সন্ত্রাস শুরু করেছিল। তারা সেসময় শত শত যানবাহন ভাংচুর করে সেগুলোতে আগুন ও পেট্টোল বোমা নিক্ষেপ করা হয়।
বৃহস্পতিবারে ঘটনার পর পুলিশ বলছে, বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত। রাজধানীকে উত্তপ্ত করার অপচেষ্টার অংশ হিসেবে আগুন দেওয়া হয়েছে। এদিকে বাসে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন। এসব বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে নেতারা এই অগ্নিসংযোগ ও সন্ত্রাসের জন্য বিএনপিকে দায়ী করে বলেছেন, বিএনপি দেশকে অস্থিতিশীল এবং সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাইলে আওয়ামী লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে দাঁতভাঙা জবাব দেবে। অপরদিকে ঘটনার সঙ্গে বিএনপি কখনোই জড়িত নয় দাবি করেছে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এক বিবৃতিতে তিনি আগুনের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। আটক নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব।