রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বাসে অগ্নিসংযোগের প্রসঙ্গ তুলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, দুই উপ-নির্বাচনের পর ঢাকায় বাস পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। সেটির গোপন রহস্য হচ্ছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর জো বাইডেন সবার সঙ্গে শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় করেন। কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে একবারও কল দেননি তিনি। তাই তার দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য বাস পোড়ানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে (একাংশ) সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর মুক্তির দাবিতে আয়োজিত সাংবাদিক সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘সম্মিলিতভাবে প্রতিবাদ করতে না পারলে সবচেয়ে বড় বিপদ হবে বিএনপির। বিএনপি সুচতুরভাবে খালেদা জিয়ার প্রতি এত বড় অন্যায় সয়ে যাচ্ছে। বিএনপিও আন্দোলন করে না, আমরাও করি না। যেখানে ইয়াবা ব্যবসায়ীরাও সবাই জামিন পায়, সেখানে খালেদা জিয়ার জামিন হয় না, সম্পাদক আবুল আসাদের জামিন হয় না, এর চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা আর কী হতে পারে। এটা অত্যন্ত নিন্দনীয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশের গণতন্ত্র কবরে শায়িত। গণতন্ত্রকে কবর থেকে উঠাতে হলে একটামাত্র পথ আছে। সবাইকে সম্মিলিতভাবে রাস্তায় নামতে হবে।’
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘একটা সরকারের সবচেয়ে বড় বন্ধু হচ্ছে সাংবাদিকরা, যারা বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য তুলে ধরেন। সরকার এখানেই বড় ভুলটা করছে। সাংবাদিকদের যত বেশি কথা বলতে দেবেন তত বেশি তথ্য পাবেন।’
আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু, মতিয়া চৌধুরী- আপনারা কথা বলেন। আপনারা তো সবকিছুই দেখছেন, চশমা ব্যবহার করলেও আপনারা তো অন্ধ না। তা না হলে দেশের সামনে সমূহ বিপদ।’
দৈনিক নয়া দিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুল আমিন রোকন, মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, কবি আবদুল হাই শিকদার, ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বাকের হোসাইন প্রমুখ।