গবেষণা জালিয়াতির দায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষককে পদাবনতি দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিয়া রহমান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ওমর ফারুক এবং অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মাহফুজুল হক মারজান।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় উপস্থিত থাকা একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিন্ডিকেট সদস্যরা জানান, গবেষণা জালিয়াতি প্রমাণিত হওয়ায় সামিয়া রহমানকে সহযোগী অধ্যাপক পদ থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদাবনতি দেওয়া হয়েছে। আগামী দুই বছর কোনো ধরনের পদোন্নতির জন্য বিবেচিত হবেন না তিনি। ওমর ফারুককে সহকারী অধ্যাপক থেকে প্রভাষক পদে পদাবনতি দেওয়া হয়েছে। এর আগে জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়ায় ২০১৮ সালে এই শিক্ষকের পিএইচডি ডিগ্রি বাতিল করা হয়। এছাড়া শিক্ষা ছুটিতে থাকা মাহফুজুল হক মারজান ছুটিশেষে বিভাগে যোগদান করার দুই বছর পর্যন্ত কোনো ধরনের পদোন্নতি পাবেন না।
সভায় শিক্ষাছুটি শেষে চাকরিতে যোগদান না করায় এক শিক্ষককে ডিসমিসাল ও তিন শিক্ষককে টার্মিনেট করা হয়েছে জানিয়ে সিন্ডিকেট সদস্যরা বলেন, রসায়ন বিভাগের প্রভাষক শংকর মণ্ডলকে ডিসমিসাল, পরিসংখ্যন গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউটের প্রভাষক ফারহানা সাদিয়া এবং ফার্মসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগের ফারহানা ইসলামকে টার্মিনেট করা হয়েছে। এছাড়া ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের প্রভাষক মলিতক সেজান মাহমুদকে বিভাগে যোগদানের জন্য আট সপ্তাহের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে যোগদান না করলে তাকে টার্মিনেট করা হবে।
অন্যদিকে প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক তাহমিনা হোসেন আহমেদ এবং পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক অথৈ নীলিমা স্বেচ্ছায় অবসর চেয়েছেন। তবে শিক্ষা ছুটিতে যাওয়ার পর তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত সব ধরনের আর্থিক সুযোগ-সুবিধা ফেরতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।