বেশ কিছুদিন লাইফসাপোর্টে থাকার পর মৃত্যুবরণ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি, বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
এ মাসের শুরুর দিকে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসায় করোনা নেগেটিভ হলে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হতে থাকে।
পরে তার অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে থাকলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২১ ফেব্রুয়ারি দেশবরেণ্য এই ব্যাংকারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউতে স্থানান্তর করা হয়। এদিন দুপুরেই অবস্থার আশঙ্কাজনক অবনতি ঘটলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেন চিকিৎসকরা। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরে তার মৃত্যু হয়।
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তার মরদেহ আজ সকাল ১১টায় প্রথমে কচিকাঁচার মেলায় নেয়া হবে। পরে সেখান থেকে নেয়া হবে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে। জোহরের নামাজের পর সেখানেই তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
১৯৪১ সালের ৪ জুলাই গোপালগঞ্জে জন্ম নেন খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভুগোলে মাস্টার্স এবং আইবিএ থেকে এমবিএ করেন তিনি। ১৯৬৩ সালে কর্মজীবন শুরু করা এই প্রতিথযশা ব্যাংকার বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া সোনালী, অগ্রণী ও পূবালী ব্যাংকেরও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এসবের পাশাপাশি সামলেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরের দায়িত্ব। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ ব্যাংকটির স্বতন্ত্র পরিচালক ছিলেন।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জটিল হিসাব নিকাশে জীবন কাটালেও খুব সহজ-সরল মানুষ ছিলেন তিনি। কর্মজীবনের তুমুল ব্যস্ততার মাঝেও শিশু-কিশোরদের সান্নিধ্যে কাটাতে বেশ পছন্দ করতেন খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। অসুস্থ হওয়ার পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কচিকাঁচার আসরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত ছিলেন তিনি।