গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুতে গঠিত জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদনে মুশতাকের ‘স্বাভাবিক’ মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে।

সোমবার (৮ মার্চ) বিকেলে জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর আগে তার চিকিৎসায় অবহেলা ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখতে ২৬ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কমিটি করা হয়। সেই কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ হলো- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের অনুরূপ। অর্থাৎ ‘মুশতাকের মৃত্যু ছিল স্বাভাবিক।’

জেলা প্রশাসক রোববার (৭ মার্চ) তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পান। জেলা প্রশাসনের গঠিত দুই সদস্যের কমিটিতে ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরী ও উম্মে হাবিবা ফারজানা। দ্বিতীয় দফার নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার একদিন আগে কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়।

প্রথম দফায় নির্ধারিত দুই কর্মদিবস শেষে গত সোমবার (১ মার্চ) তদন্ত শেষ না হওয়ায় কমিটিকে আরও পাঁচ কর্মদিবস সময় দেওয়া হয়।

কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের জ্যেষ্ঠ সুপার গিয়াস উদ্দিন জানান, ২৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মুশতাক আহমেদ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে কারা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত ৮টা ২০মিনিটে মুশতাক আহমেদকে মৃত ঘোষণা করেন।

গিয়াস উদ্দিন আরও জানান, ২৬ ফেব্রুয়ারি ময়নাতদন্ত ও সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে পুলিশ লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে। মুশতাক নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার থানার ছোট বালাপুর এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।

ঢাকা মেট্রোপলিটনের রমনা মডেল থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গত বছরের ৬ মে থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে এবং ২৪ অগাস্ট থেকে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন লেখক মুশতাক আহমেদ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here