করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী ১ জুলাই থেকে অনলাইনে সব বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিনস কমিটি৷ অনলাইনে পরীক্ষা হলেও ঢাবির আবাসিক হলগুলো বন্ধই থাকবে৷ বুধবার বিকেলে উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে ঢাবি ডিনস কমিটির ভার্চ্যুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ঢাবির সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) এ এস এম মাকসুদ কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়া শুরু হবে৷ অনলাইন পরীক্ষার গ্রহণযোগ্যতা ও পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ কীভাবে নিশ্চিত করা যায়, তা সুনির্দিষ্ট করতে অনুষদগুলোর ডিন ও ইনস্টিটিউটগুলোর পরিচালকদের একটি কৌশলপত্র তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷ দুই সপ্তাহের মধ্যে এই কৌশলপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে তাদের৷ অনলাইন পরীক্ষার দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে৷ ডিনস কমিটির এসব সিদ্ধান্ত শিগগির বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের বিশেষ সভায় অনুমোদন করা হবে৷
চূড়ান্ত পরীক্ষা আটকে থাকায় ঢাবি শিক্ষার্থীরা এর মধ্যেই এক বছর পিছিয়ে পড়েছেন৷ পড়াশুনা শেষ করতে না পারায় শিক্ষার্থীদের অনেকের কর্মজীবনে প্রবেশ তথা ভবিষ্যতের পরিকল্পনা থমকে আছে৷ এমন পরিস্থিতিতে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত এলো৷
এর আগে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ১৭ মে আবাসিক হল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে গত ২৯ এপ্রিল সরে আসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটি। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা নিশ্চিত হওয়ার আগপর্যন্ত হল বন্ধ থাকবে। টিকা নিশ্চিত হওয়ার অন্তত চার সপ্তাহ পর হল খুলে দেওয়া হবে।