ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের চূড়ান্ত বর্ষের শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমানের মৃত্যু তদন্তকালে দেশে প্রথমবারের মতো “হ্যালুসিনোজেনিক ড্রাগ” লাইসারজিক অ্যাসিড ডাইইথালামাইড (এলএসডি) জব্দ করেছে পুলিশ।
এসময় রাজধানীতে মাদক চালানোর অভিযোগে হাফিজুরের বন্ধু এবং বেসরকারি দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে তারা।
বৃহস্পতিবার (২৭ মে) এ বিষয়ে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) জানিয়েছে, হাফিজুর (২৪) এবং তার তিন বন্ধু গত ঈদুল ফিতরের পরদিন ১৫ মে রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কার্জন হল এলাকায় এলএসডি নিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, মাদক গ্রহণের পর এর প্রভাবে হাফিজুর সেখান থেকে বের হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রধান ফটকের কাছে যেয়ে, এক ডাব বিক্রেতার কাছ থেকে দা কেড়ে নিয়ে নিজের গলায় মারাত্মকভাবে জখম করেন।
পরবর্তীতে শাহবাগ পুলিশের একটি টহল দল তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিনি মারা যান বলে জানিয়েছেন ডিবি কর্মকর্তারা। তবে পুলিশ ওই যুবককে শনাক্ত করতে না পারায় তার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রেখে দেওয়া হয়। এ ঘটনার আট দিন পর হাফিজুরের পরিবারের সদস্যরা মর্গের লাশটি তার বলে শনাক্ত করেন।
উল্লেখ্য, এলএসডি মূলত এক প্রকার মাদক। যা মনস্তাত্ত্বিক প্রভাবের জন্য পরিচিত। এটি মস্তিষ্কে এমন এক প্রভাব সৃষ্টি করে যা হ্যালুসিনেশনে (সম্মোহন) সাহায্য করে। বিশ্বের প্রায় বেশিরভাগ দেশেই অবৈধ এ মাদক সেবন করলে মানুষ এমন সব আকারের জিনিস দেখতে পান যা কোনও অস্তিত্ব নেই।