সাবেক অর্থমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল মাল আবদুল মুহিত মারা গেছেন। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।
বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় বেশ কিছুদিন ধরে গুরুতর অসুস্থ মুহিতকে শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোকবার্তায় তারা মুহিতের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারে প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
সাবেক এই খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ ১৯৩৪ সালের ২৫ জানুয়ারি সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। তৎকালীন সিলেট জেলা মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা আবু আহমদ আবদুল হাফিজ ও সৈয়দা শাহার বানু চৌধুরীর ১৪ সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয় সন্তান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন তার ছোট ভাই। স্ত্রী সৈয়দা সাবিয়া মুহিত একজন ডিজাইনার। তিন সন্তানের মধ্যে কন্যা সামিনা মুহিত ব্যাংকার ও আর্থিক খাতের বিশেষজ্ঞ। বড় ছেলে সাহেদ মুহিত বাস্তুকলাবিদ এবং ছোট ছেলে সামির মুহিত একজন শিক্ষক।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর টানা ১০ বছর অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে এরশাদ সরকারের সময় ১৯৮২ থেকে ‘৮৩ সাল পর্যন্ত অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। অর্থমন্ত্রী হিসেবে আবুল মাল আবদুল মুহিত ১২টি বাজেট উপস্থাপন করেছেন। দেশের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশিবার বাজেট দিয়েছেন তিনি।
আজ সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর গুলশান আজাদ মসজিদে আবুল মাল আবদুল মুহিতের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। বেলা ১২টায় তার মরদেহ সর্বস্তরের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেয়া হবে। সেখান থেকে দাফনের জন্য মরদেহ নেয়া হবে তার জন্মস্থান সিলেটে। সেখানে রায় নগরের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।