পদ্মাসেতুর জাজিরা প্রান্তে ২২ ও ২৩ নম্বর পিলারের উপর ১৭তম স্প্যান বসানো হয়েছে। এতে পদ্মাসেতু ২৫৫০ মিটার অর্থ্যাৎ আড়াই কিলোমিটারেরও বেশি দৃশ্যমান হয়েছে। ১৬তম স্প্যান বাসানোর মাত্র সাত দিনের ব্যবধানে এই স্প্যানটি বসানো হয়ে।
মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে সেতুর ২২ ও ২৩ নম্বর খুঁটিতে ‘৪ডি’ নম্বর স্প্যানটি বসানো হয়। পদ্মাসেতুর সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে স্প্যানটি এখন মাঝের চরে অস্থায়ী প্ল্যাটফর্মে রাখা ছিল। সেখান থেকে মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে ভাসমান ক্রেন তিয়ান-ই-তে করে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের আর ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি ২২ ও ২৩ নম্বর পিলারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, সেতুর ৪২টি খুঁটির মধ্যে ৩৩টি খুঁটি এরইমধ্যে নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া আলোচিত ৭ নম্বর খুঁটির কাজ চলতি মাসেই শেষ হবে। আগামী ১০ ডিসেম্বর ৬ ও ৩০ নম্বর খুঁটির কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। আর বাকি ৮, ১০, ১১, ২৬, ২৭ ও ২৯ নম্বর খুঁটির কাজ আগামী মার্চের মধ্যে শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ৪১টি স্প্যানের মধ্যে মাওয়ায় ৩১টি স্প্যান আছে। এর মধ্যে ১৭টি স্প্যান এরইমধ্যে বসানো হয়েছে।
এ দিকে সেতুর বাস্তব কাজের অগ্রগতি ৮৪ শতাংশ এবং সেতুর আর্থিক অগ্রগতি ৭৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৭৪ শতাংশ।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো কর্পোরেশন। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর আগামী ২০২১ সালেই খুলে দেয়া হবে।