merindi
photo credit: merindi/google

আমেরিকা থেকে এসেছেন বাংলাদেশে। টানা ৩২ বছর এদেশের দরিদ্র মানুষদের দিয়ে গেছেন চিকিৎসা সেবা। টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার কালিয়াকৈর গ্রামে গড়ে তুলেছিলেন একটি হাসপাতাল। যেখানেই গরিব মানুষদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে গেছেন এড্রিক বেকার। যিনি সবার কাছে পরিচিত হয়ে উঠেন ‘ডাক্তার ভাই’ হিসেবে।

এদিকে জীবনের শেষ সময়ে ‘ডাক্তার ভাই’ দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে অনেকেই চেয়েছিলেন চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকাতে নিয়ে যেতে। কিন্তু তিনি ঢাকা যেতে চাননি। তার শেষ ইচ্ছে ছিলো, তার তৈরি হাসপাতালেই তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করবেন। শেষ পর্যন্ত তার তৈরি করা হাসপাতালেই তিনি ২০১৫ সালে মারা যান।

ডা. বেকার মারা যাওয়ার পর তার হাসপাতালের পরিচালনায় আছে আমেরিকা থেকে ছুটে আসা আরেক ডাক্তার দম্পতি জেসিন এবং মেরিন্ডি।

বেকার জীবিত থাকা অবস্থায় জেসিন এই হাসপাতালটি পরিদর্শন করেছিলেন। কিন্তু যখন ডা. বেকারের মৃত্যুর খবর শুনে তিনি অস্থির হয়ে উঠেন কিন্তু তার বিভিন্ন ব্যস্তায় তখন আসতে পারেননি। অবশেষে নিজের দেশ আমেরিকা এবং সম্পদ ও সকল সুখ ত্যাগ করে ২০১৮ সালে বাংলাদেশে চলে আসেন।

শুধু নিজেরা যে এসেছেন তা না। নিজেদের সন্তানদেরও সাথে করে নিয়ে এসেছেন। ভর্তি করে দিয়েছেন গ্রামেরই স্কুলে। গ্রামের শিশুদের সঙ্গে খেলছে। দম্পতি জেসিন এবং মেরিন্ডির চারটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। ডাক্তার জেসিন কী সুন্দর করে লুঙ্গি পরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আর গ্রামে জেসিন হয়ে উঠেন নতুন ‘ডাক্তার ভাই’ এবং মেরিন্ডি হয়ে উঠেন নতুন ‘ডাক্তার দিদি’। তারা দুজন নিয়মিত সেবা দিয়ে যাচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here