মানবশরীরের জটিল রোগ হেপাটাইটিসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবদান রাখায় এ বছর চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন হার্ভে জে অল্টার, মাইকেল হুটন ও চার্লেস এম রাইচ। হেপাটাইসিস সি ভাইরাস আবিষ্কারের জন্য যৌথভাবে তাদের এই পুরস্কার দেওয়া হবে। সোমবার (৫ অক্টোবর) সুইডেনে নোবেল অ্যাসেমব্লি অ্যাট ক্যারোলিনস্কা ইন্সটিটিউট তাদের নাম ঘোষণা করে।
BREAKING NEWS:
The 2020 #NobelPrize in Physiology or Medicine has been awarded jointly to Harvey J. Alter, Michael Houghton and Charles M. Rice “for the discovery of Hepatitis C virus.” pic.twitter.com/MDHPmbiFmS— The Nobel Prize (@NobelPrize) October 5, 2020
সোমবার দুপুরের দিকে নোবেল কর্তৃপক্ষের তরফে একটি টুইটবার্তায় বলা হয়, ‘হেপাটাইটিস সি ভাইরাস আবিষ্কারের জন্য ২০২০ সালের চিকিৎসা বিজ্ঞানে একসঙ্গে নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন হার্ভে জে অল্টার, মাইকেল হিউটন এবং চার্লস এম রাইস।
পরে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, রক্তবাহিত হেপাটাইটিসের ফলে সিরোসিস ও পাকস্থলীর ক্যানসারে ভোগেন সারা বিশ্বের অসংখ্য মানুষ। তিন গবেষকের আবিষ্কারের ফলে সেই রোগ মোকাবিলায় নয়া দিশা পেয়েছে বিশ্ব। সেই আবিষ্কারের ফলে রক্ত পরীক্ষা সম্ভবপর হয়েছে এবং বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের জীবন বেঁচেছে।
উল্লেখ্য, ১৯০৫ সালে নোবেল পুরস্কার প্রদান শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত চিকিৎসা ক্ষেত্রে ১০৯ বার নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালে কোষ কীভাবে অক্সিজেনের উপস্থিতি অনুভব করে এবং সাড়া দেয়, তা নিয়ে গবেষণা করে নোবেল জিতেছিলেন লন্ডনের ফ্রান্সিস ক্রিক ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক স্যার পিটার র্যাটক্লিফ এবং যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের উইলিয়াম ক্যালিন ও জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রেগ সেমেন্জা।
২০১৮ সালে নেতিবাচক ইমিউন নিয়ন্ত্রণে বাধাদানের মাধ্যমে ক্যানসার থেরাপি আবিষ্কারের জন্য যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান জেমস পি. অ্যালিসন ও তাসুকু হনজো। আর ২০১৭ সালের বায়োলজিক্যাল ক্লকসের মলিকিউলার মেকানিজমের আবিষ্কারের কারণে নোবেল পুরস্কার জেতেন বিজ্ঞানী জেফরি হল, মাইকেল রোশবাশ ও মাইকেল ইয়াং।