Photo credit: Twitter@AJEnglish

শুক্রবারে তুরস্ক ও গ্রিসে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৬-এ দাঁড়িয়েছে । ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিহতদের মধ্যে ২৪ জন তুরস্কের, দু’জন গ্রিসের।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে যে, তুর্কি কর্তৃপক্ষ ২৪ জনের মৃত্যু ও প্রায় ৮০০ লোকের আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

আর গ্রিসে এক কিশোর ও এক কিশোরী নিহত হয়েছে। সামোস আইল্যান্ডে একটি ভবন তাদের ওপর ভেঙে পড়লে তারা নিহত হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, শুক্রবারের ভূমিকম্পটি রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার ছিল। তবে তুরস্কের এএফএডি জানিয়েছে, ইজমির প্রদেশে ৬.৬ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পটি আজিয়ান সাগরের সাড়ে ১৬ কিলোমিটার (১০ মাইল) গভীরে সংঘটিত হয়েছে।

সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আজিয়ান রিসোর্ট সিটি ইজমির। এই নগরীতে ৩০ লাখ লোকের বাস এবং আকাশচুম্বি ভবনে পরিপূর্ণ।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার কথা জানিয়ে বলেন, সম্ভাব্য সবকিছু করার জন্য সমবেতভাবে সবাই অংশ নিয়েছে।

ফেব্রুয়ারিতে তুরস্কের পূর্বাঞ্চলীয় এলাজিগ প্রদেশে ভূমিকম্পে অন্তত ৩০ জন নিহত হয়। আহত হয় ১৬০ জন। ২০১৯ সালের জুলাইতে গ্রিসের অ্যাথেন্সে ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে শহরের অধিকাংশ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ১৯৯৯ সালে ইস্তাম্বুলের পার্শ্ববর্তী ইজমির শহরে শক্তিশালী ভূমিকম্পন আঘাত হেনেছিল। এতে ১৭ হাজার মানুষ নিহত হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here