জাপানের ১২৬তম সম্রাট ক্রিসেনথিমাম সিংহাসনে আরোহণ করেছেন । মঙ্গলবার রাজকীয় আয়োজনের মধ্যে দিয়ে জাপানের ‘তাকামিকুরা’ (চন্দ্রমল্লিকা) সিংহাসনে আরোহণ করেন ৫৯ বছর বয়সী নারুহিতো।
Japan’s Emperor Naruhito has officially proclaimed his enthronement, in a ritual-bound, centuries-old ceremony attended by more than a hundred dignitaries from around the world https://t.co/onM4P6BpBG pic.twitter.com/RUkhLSZZk7
— CNN International (@cnni) October 22, 2019
অনুষ্ঠানে নারুহিতোর পরনে ছিল খয়েরি-কমলা রঙের আনুষ্ঠানিক জামা। মাথায় ছিল কালো পাগড়ি জাতীয় পোশাক। দুই হাজার ৬৮০ বছরের পুরোনো প্রথা অনুযায়ী অতি জাঁকজমকের সঙ্গে এই অভিষেক অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
রাষ্ট্রের প্রতীক ও জনগণের কাছাকাছি থাকার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করার জন্য ইম্পেরিয়াল প্যালেসে নারুহিতোর রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে তাকে অভিনন্দন জানান এবং তিনবার ‘বানজাই’ বলে উল্লাস প্রকাশ করেন। এ উল্লাসের মানে হলো ‘১০ হাজার বছরের’ দীর্ঘ জীবন কামনা।
রাজকীয় সিংহাসনের ভেতরে দাঁড়িয়ে নারুহিতো বলেন, ‘আমি শপথ করছি যে আমি সংবিধান অনুযায়ী কাজ এবং রাষ্ট্র ও জাপানের জনগণের ঐক্যের প্রতীক হিসেবে আমার দায়িত্ব প্রতিপালন করব। সেই সাথে মানুষের সুখ ও বিশ্বের শান্তির জন্য সর্বদা প্রার্থনা করব। আমি সর্বদা মানুষের পাশে আছি,’ যোগ করেন তিনি।
অক্সফোর্ডে পড়াশোনা করা নারুহিতো একজন ইতিহাসবিদ, বেহালা বাদক ও নৌ পরিবহন বিশেষজ্ঞ। তার একমাত্র সন্তান রাজকুমারি আইকো। ১৯৯১ সালে ৩১ বছর বয়সে তিনি যুবরাজ হিসেবে সিংহাসনের উত্তরাধিকারী মনোনীত হন।
দুই বছর পর ১৯৯৩ সালে হাভার্ডে পড়া মাসাকোর সঙ্গে বিয়ে হয় নারুহিতোর। ২০০১ সালে এ দম্পতির একমাত্র সন্তান প্রিন্সেস আইকোর জন্ম হয়।
সম্রাটের অভিষেক অনুষ্ঠানে বিশ্বের ১৯০টির বেশি দেশের প্রায় দুই হাজার রাষ্ট্রনেতা ও প্রতিনিধি এ অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ রাজকীয় এই অনুষ্ঠানে স্ত্রী রাশিদা খানমকে নিয়ে উপস্থিত ছিলেন ।
বিগত ৬০ বছরের মধ্যে জাপানে আঘাত হানা সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ‘হাগিবিস’এর আঘাতে এ পর্যন্ত অনেক মৃত্যু ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। তাই আজকের অনুষ্ঠানে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সমবেদনা জানিয়ে পূর্ব নির্ধারিত প্যারেড বাতিল করা হয়।