ভারতের হায়দরাবাদে ধর্ষণ করে জ্যন্ত জ্বালিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে এক মহিলাকে। মৃত ওই মহিলা পেশায় ছিলেন চিকিৎসক। সেই ঘটনা ঘুরে তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে সমগ্র দেশ জুড়ে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে প্রতিবাদ। সমাজের সর্বস্তর থেকে ভেসে আসছে নিন্দা। অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন সকলেই। জাতীয় রাজনীতির ময়দানেও বিষয়টি উঠতে চলেছে বলেও মনে করছে অনেকে।
এই অবস্থায় প্রকাশ্যে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ধর্ষিতা এবং ধর্ষণের পর খুন হয়ে যাওয়া পশু চিকিৎসক প্রিয়াঙ্কা রেড্ডির যৌনতার ভিডিও দেখতে আগ্রহী বহু মানুষ। আরও বলা ভালো ওই নৃশংসভাবে ধর্ষণের মুহূর্তের ভিডিও দেখতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে অনেকে। এমনই তথ্য উঠে আসছে বিশ্ববিখ্যাত পর্ণ সাইট এক্সভিডিওজ-এ।
মনে হচ্ছে ভুল পড়ছেন! একদমই না। পর্ণ সাইট এক্সভিডিওজ-এ ট্রেন্ডিং রয়েছে প্রিয়াঙ্কা রেড্ডি। ঠিক কোন অবস্থায় কী উওয়ায়ে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছিল তা দেখতে আগ্রহী মানুষদের অন্ত নেই। এক্সভিডিওজ-এর তথ্য অনুসারে গত শনিবার থেকে প্রিয়াঙ্কা রেড্ডির যৌন ভিডিও খোঁজার ধুম পড়ে গিয়েছে নেট দুনিয়ায়। যার কারণেই প্রিয়াঙ্কা রেড্ডির নাম ট্রেন্ডিং-এ শীর্ষে দেখা যাচ্ছে প্রিয়াঙ্কা রেড্ডির নাম।
ধর্ষণ করে সেই মুহূর্তের ঘটনা মোবাইলের ক্যামেরায় রেকর্ড করে রাখে অনেক ধর্ষক। সেই রকম অনেক ধরণের ভিডিও দেখতে পাওয়া যায় পর্ণ সাইটগুলিতে। মৃত প্রিয়াঙ্কার তেমনই কোনও প্রকারের ভিডিও পাওয়া যায় কিনা তা খুঁজতে হন্যে হয়ে পড়েছে অনেকে। এই সকল লোকেরা কিন্তু, প্রিয়াঙ্কার ধর্ষক চার দুষ্কৃতির থেকে কিছু কম যায় না। তাদের অপরাধের মানসিকতাও প্রায় একই।
এক্সভিডিওজ বা নেট দুনিয়ার নিয়ম অনুসারে যে শব্দ বা শব্দগুচ্ছ নিয়ে তল্লাশি চালানো হয় সেগুলিই ট্রেন্ডিং হয়। টুইটারে বা ইউটিউবে এই ট্রেন্ডিং প্রথা চালু আছে। সেখানে বেশি মাত্রায় খোঁজ হওয়া বিষয়টিকেই ট্রেন্ডিং দেখায়। এটা খুবই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। বেশি সংখ্যক মানুষ খুঁজলেই তা ট্রেন্ডিং হয়ে যাবে। সেই উপায়েই এক্সভিডিওজ-এর ট্রেন্ডিং তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে প্রিয়াঙ্কা রেড্ডি।