অন্য সকল শহরের মত এখানে নেই ভালাে রাস্তা। তাতে কি রাস্তা নেই বলে তো মেয়েদের পড়াশোনা থেমে থাকবে? মেয়েরা লেখাপড়া শিখবে, এই ইচ্ছের কাছে এটা কোনও বাধা? তাই প্রতিদিন ১২ কিলোমিটার বাইক করে মেয়েদের স্কুলে দিয়ে আসেন আগানিস্তানের মিয়া খান (Mia Khan)।
এভাবে রোজ তিন মেয়েকে দিয়ে আসা-নিয়ে আসা করেন তিনি। শুধু তাই নয়, স্কুলের বাইরে দাঁড়িয়েও থাকেন। মেয়েদের স্কুল শেষ হলে ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন বলে। সামাজিক মাধ্যমে এই খবর ছড়াতেই ভাইরাল এই যায় পুরো বিশ্ব। সবাই মিয়ার প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
#16DaysOfActivisimA father who considers educating his daughters a dutyA resident of central Sharana of Paktika…
Posted by Swedish Committee for Afghanistan on Monday, December 2, 2019
আফগানিস্তানে এখনও তালিবান রাজত্ব। মেয়েদের বাইরে বেরোনো সেখানে প্রায় নিষেধ। সেই নিষেধ অগ্রাহ্য করে মেয়েদের শিক্ষিত করে তোলার ভাবনা সত্যিই অতিকল্পনা। বিশেষ করে সেখানকার পুরুষদের থেকে। কিন্তু সেই অবাস্তবই বাস্তব করে দেখাচ্ছেন মিয়া। সুইডেনের এক স্বেচ্ছ্বাসেবী সংস্থার স্কুল নুরানিয়ানিয়া-য় মিয়া ভর্তি করেছেন তার মেয়েদের।
এর পিছনে রয়েছে কারণ, মেয়েদের তিনি ডাক্তার বানাবেন কারন যেখানে থাকেন সেখানে একজনও মহিলা ডাক্তার নেই। সেই অভাব তিনি পূরণ করতে চান মেয়েদের দিয়ে। তাই রোজ এত পরিশ্রম করে স্কুলে নিয়ে যান মেয়েদের।
এ ব্যাপারে মিয়া বলেন, ‘আমি অশিক্ষিত। তবু জানি, শিক্ষার কত মূল্য। বিশেষ করে মেয়েদের লেখাপড়া শেখা খুব জরুরি। এতদিন এ বিষয়ে কেউ নজর দেয়নি বলেই তো এখানে একজনও মহিলা ডাক্তার নেই। আমার মেয়েরা সেই অভাব পূরণ করবে।’