সবেমাত্র চীনের বাইরে ছড়িয়ে পড়া শুরু হয়েছে করোনা ভাইরাস বা কভিড-১৯। এর ফলে পৃথিবীর প্রতিটি দেশে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটবে। চীনের স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তারা আগামী এপ্রিলের মধ্যে এই ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনার প্রত্যাশা করলেও, এমন ভয়াবহ সতর্কতা উচ্চারণ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ডালি ফিশার।
এর আগে হংকংয়ের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক মেডিসিনের চেয়ারম্যান প্রফেসর গাব্রিয়েল লিউং সতর্কবার্তায় বলেছেন, করোনা ভাইরাসে বিশ্বে মারা যেতে পারেন সাড়ে চার কোটি মানুষ। আক্রান্ত হতে পারেন বিশ্বের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৬০ ভাগ। তিনি বলেছেন, বিভিন্ন দেশের সরকারকে অবশ্যই এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তার সতর্কবার্তায় আরো বলা হয়েছে, যদি শতকরা এক ভাগ মানুষও মারা যায় তাহলেও মারা পড়বেন কয়েক কোটি মানুষ। বর্তমানে বিশ্বে মোট জনসংখ্যা ৭০০ কোটিরও বেশি।
এর অর্থ হলো বর্তমান হারে যদি এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে তাহলে এতে আক্রান্ত হবেন কমপক্ষে ৪০০ কোটি মানুষ।
প্রফেসর লিউংয়ের মতে, যদি শতকরা এক ভাগ মানুষও মারা যায়, তাহলে এতে মারা যাবেন কমপক্ষে সাড়ে চার কোটি মানুষ। এর পরেই ডা. ডালি ফিশার বিশ্বজুড়ে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার হুঁশিয়ারি দিলেন। তিনি বলেছেন, এই মহামারি চীনে সর্বোচ্চ অবস্থায় পৌঁছে যেতে পারে। আর বাকি বিশ্বের পরিস্থিতি অব্যাহতভাবে আরো খারাপ হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় গ্লোবাল আউটব্রেক এলার্ট রেসপন্স নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান ডা. ডালি ফিশার। তিনি বলেন, এরই মধ্যে সিঙ্গাপুরে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। আমি নিশ্চিত প্রতিনিটি দেশেই এই ভাইরাসের কোনো না কোনো কেস থাকবে।
সিঙ্গাপুরে এই ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে ৫০টি। চীনের বাইরে এটাই কোনো একটি এলাকায় সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা। স্থানীয়ভাবে সংক্রমণের মাধ্যমে এটা ঘটেছে। সিঙ্গাপুরে কেন এত রোগি? এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. ডালি ফিশার বলেছেন, সেখানে তুলনামুলকভাবে অধিক সংখ্যায় ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা করা হচ্ছে। সন্দেহজনকদেরকে পরীক্ষায়র ক্ষেত্রে সূচক অনেক নিম্নমুখী। যদি বেশি পরিমাণে পরীক্ষা করা হতো তাহলে এতে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি পাওয়া যেতো। এই ভাইরাস সংক্রমণের আরো অনেক পদ্ধতি এখনও অজানা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা ভাইরাস সংক্রমণকে সন্ত্রাসের চেয়ে মানবতার জন্য বড় হুমকি হিসেবে ঘোষণা দেয়ার পর এমন হুঁশিয়ারি দিলেন ডা. ডালি ফিশার।