বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় “সিত্রাং” আরও ঘণীভূত ও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আগামিকাল মঙ্গলবার ভোররাত অথবা সকাল নাগাদ খেপুপাড়ার নিকট দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানতে পারে। খবর বাসস।
মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ (সাত) নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সুমুদ্রবন্দরকে ৬ (ছয়) নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস থেকে এ সংক্রান্ত ৮ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এছাড়া ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং নিয়ে আজ সোমবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা: মোঃ এনামুর রহমান বলেন, এই ঝড় উপকূলীয় ১৩ জেলায় মারাত্মক এবং দুই জেলায় হালকাভাবে আঘাত হানবে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে বরগুনার পাথরঘাটা ও পটুয়াখালীর কলাপাড়া।
১৩টি জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী এবং ফেনীতে সিত্রাং মারাত্মক আঘাত হানবে বলে প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম খুলনা এবং বরিশাল বিভাগের বেশিরভাগ জায়গায় এটি আঘাত হানবে এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের দ্বীপ অঞ্চলগুলো বিশেষ করে মহেশখালী, সন্দীপ এগুলো ঝুঁকিপূর্ণ আছে।
এসব অঞ্চলে লোক সরানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।
ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবেলায় লক্ষ্মীপুরে সরকারি কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ১৮৫টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত করা হয়েছে। ১০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। ৩ হাজার ২৮০ জন (সিপিপি) স্বেচ্ছাসেবক, ৬৬টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। ২৬০ টন চাল ও ৫ লাখ ৮৩ হাজার টাকা নগদ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ৬০০ কার্টন বিস্কুট ও ১০০০ প্যাকেট শুকনো খাবার মজুদ রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের জনগণের পাশে থাকার নির্দেশ প্রদান করেছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ সোমবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনার কথা গণমাধ্যমেকে জানানো হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দুর্যোগ পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহায়তার জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটির নেতৃত্বে একাধিক টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।